ময়মনসিংহের সাংবাদিক কামাল হোসেনের নামে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির বিতর্কিত নেতা- প্রতারক মনির চৌধুরী কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রতারক মনির চৌধুরীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
১২ই অক্টোবর( রবিবার) বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, “সাংবাদিক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি শুধু একজন সাংবাদিকের ওপর নিপীড়ন নয়, বরং মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।”
সাংবাদিক কামালের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে -নতুবা ওসি শিবিরুলকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা হতে দ্রুত প্রত্যাহার চেয়েছেন সাংবাদিক নেতাদের অনেকে। তথ্য প্রমানের তোয়াক্কা না করেই সাংবাদিক কামালের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা নিলো ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম। চাঁদাবাজির মামলা তদন্ত না করেই রেকর্ড করে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ।
সুত্র জানায়, মামলাটি ওসি শিবিরুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে এজাহার আকারে গ্রহন করে । জাতীয়পার্টির এই দোসর মনির চৌধুরী রেঞ্জ ডিআইজির নাম ব্যবহার করে আসছে । ডিআইজি ও মনির চৌধুরী উভয়ের বাড়ী সিলেট হওয়াতে এই সুযোগ ব্যবহার করেছেন মনির চৌধুরী ।
সাংবাদিকগন ডিআইজি আতাউল কিবরিয়ার সাথে কথা বললে জানা যায় তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না । এই সময় জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন ।
সাংবাদিকগন ঘটনাটা বুঝতে পারেন যে, ওসি শিবিরুল ইসলাম স্বপ্ররোচিত হয়ে মামলাটি এফআইআর করেন । জানা যায় এখানে অর্থ লেনদেন মতো ঘটনা ঘটেছে৷
সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন বলেন, “সাংবাদিক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি শুধু একজন সাংবাদিকের ওপর নিপীড়ন নয়, বরং মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।” মিথ্যা মামলাবাজ মনির চৌধুরী তার নিজের মেয়ের জামাইকেও ১০ টি মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে । এবং সরকারী বিভিন্ন অফিসারের বিরুদ্ধেও সে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করা তার পেশা । মনির চৌধুরী কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম কে ম্যানেজ করেই চাঁদাবাজি মামলাটি করেছেন । মিথ্যা মামলা দেওয়ার পিছনে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে ডিআইজি কি ব্যবস্থা নেন সেটাই দেখার বিষয় । আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে ।
সাংবাদিক নেতা খায়রুল আলম রফিক বলেন, “কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সত্য প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”
বক্তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের হয়রানি করে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া যায় না। বরং এতে গণমাধ্যম আরও সচেতন ও সোচ্চার হয়। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার, সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে একটি স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ময়মনসিংহের ডিআইজি আতাউল কিবরিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে সাংবাদিক নেতারা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তুলে ধরেন। ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী ও সচেতন নাগরিকগণ।